কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে হাসপাতালটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও চিকিৎসকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া পানি সরবরাহ বন্ধসহ হিমায়িত ভ্যাকসিন ও ওষুধ সংরক্ষণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জানা যায়, পিডিবির ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় ১০০ শয্যার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। হাসপাতালের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অর্থ সংকটের কারণে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ দফায় দফায় বকেয়া বিল পরিশোধ করতে নোটিশ দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারি প্রকৌশলী মো.শামসুল আলম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বকেয়া বিল প্রদানের নোটিশ দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করছে না। সেজন্যই আজকে সকালে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়ের বিল প্রদানের আশ্বাসে পুর্নরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল করিম বলেন, কোন ধরণের নোটিশ ছাড়াই আজ সকাল ৯ টায় বিল বকেয়া থাকায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক রোগী। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রম ব্যাহৃত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও বরাদ্দ আসে ৫০ শয্যার শয্যার । কিন্তু বিদ্যুৎ বিল আসে ১০০ শয্যার । ফলে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুতের বিল দেয়া যাচ্ছে না। আজকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি ডিজি মহোদয়কে অবগত করা হলে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে পুর্নরায় সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করেন।