মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে করে, সে জন্য সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
সচিবালয়ে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে, এ জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সব বাহিনী একই সঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। তারা মনে করেছে, এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া) হলে পারপাস অব দ্য গভর্নমেন্ট সিকিউর দ্য সিটিজেন (সরকারের উদ্দেশ্যে জনগণকে নিরাপদ করা)। উই আর সারভিং ফর দ্য স্টেট (আমরা দেশের সেবা করছি)।
‘এই মুহূর্তে মনে হয়েছে এটা দরকার। টার্গেট (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়ার সময়) বলে দেয়া হয়েছে মাত্র ৬০ দিন।’
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব দেয়ায় কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘এটা কোনো ক্যাডারের ক্ষমতা না, এটা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। কোনো দ্বন্দ্ব হবে না। এক রাষ্ট্র, এক জনগণ, এক সরকার।
‘জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া) ভালো ফল দেবে।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
‘দ্য কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এ ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।