দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মো. জসীম উদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে ১৯৯৪ সালে যোগ দেন কূটনীতিক জসীম।
দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা।
এর আগে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে একই সঙ্গে চীন ও মঙ্গোলিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন।
কাতারে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এবং গ্রিসে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন জসীম। গ্রিসের পাশাপাশি মাল্টা প্রজাতন্ত্র ও আর্মেনিয়ায়ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে; ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসেবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব ও কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তিনি দেশেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উইংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বছরব্যাপী কোর্সে অংশ নেন।
সদ্যবিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে বিদায় জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনুষ্ঠানিক বিদায় নেয়ার এক দিন পরই মাসুদ মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
বিগত সরকার ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে বা তার যোগদানের তারিখ থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আওতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছিল।