ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, চলমান বন্যার পানিতে রেললাইন ও সড়কের বিভিন্ন স্থান ডুবে যাওয়ায় ট্রেন ও বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী, কক্সবাজার ও বিশ্ববিদ্যালয় রুটেও কোনো ট্রেন আজ চলাচল করেনি।
সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে কোনো ট্রেন আসেনি বা ছেড়ে যায়নি। সড়কপথে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। খাগড়াছড়ি রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র বাসসকে জানায়, ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সিলেটের কয়েকটি স্থানেও রেললাইনে পানি উঠেছে এবং একটি রেল সেতু পানিতে ডুবে গেছে। পাহাড় ধসের কারণে কক্সবাজার রুটের ট্রেনও বন্ধ রাখা হয়েছে।
দোহাজারী-ষোলশহর এলাকায় রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় নাজিরহাট ও দোহাজারীর রুটের লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুজ্জামান শুক্রবার বাসসকে জানান, চলমান বন্যার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল ফের শুরু হবে।
এদিকে আজ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ আছে। শুধু কক্সবাজার ও বান্দরবান রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও খাগড়াছড়িসহ অন্যান্য সব রুটে বাস চলাচল করতে পারছে না।
শ্যামলী, এনআর বাস সার্ভিস লিমিটেড চট্টগ্রামের ম্যানেজার আমজাদ হোসেন রুমন বাসসকে বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় আমরা প্রায় সব রুটে বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। আজ সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে এসি, নন-এসি কোনো ধরনের বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি।
‘কক্সবাজার ও বান্দরবানে বিভিন্ন পরিবহনের কিছু বাস চলাচল করেছে। রাস্তা থেকে পানি নেমে গেলে আমরা সবগুলো রুটে বাস ছাড়ার উদ্যোগ নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১২টার পর থেকে আমাদের কোনো বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেনি। এর আগে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো বেশ কষ্টে গন্তব্যে যেতে পারলেও পরে ছাড়া সবগুলো বাস ফেনীতে আটকা পড়ে। এসব বাসকে আবার চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’