বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তার অধিকারের কথা লিখিত দিতে পিছপা হব না: রিজওয়ানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:০৬

ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তো আলোচনায় যেতেই হবে। তাদের সাথে কুশিয়ারা, ফেনী নিয়ে চুক্তি আছে। গঙ্গা চুক্তি রিনিউ করার বিষয় আছে। ৫৪ অভিন্ন নদী ছাড়া আরও কিছু অভিন্ন নদী আছে। অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব।’

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে যতটুকু করতে হয় অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকুই করবে বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সচিবালয়ে বুধবার দুপুরে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিস্তা চুক্তি এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কতটুকু করতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতটুকু করতে হয়, ততটুকুই করব। বাংলাদেশ তিস্তা নদীর ওপরে যে অধিকার, সেই অধিকারের কথা বলতে লিখিত দিতে একদম পিছপা হব না।

‘তিস্তা পাড়ের মানুষের সঙ্গে এবার কথা বলা হবে। জয়েন্ট রিভার কমিশন নেগোসিয়েশন করে, কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষ কী চায় সেটা আমরা তুলে আনব।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য ‘আমরা মানুষকে বঞ্চিত করে পানি দেব না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মানুষ কী চায় সেটাও টেবিলে যাতে আসে, সেই ব্যবস্থাটা করব। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যে আইন আছে ১৯৯৭ সালের, সেটায় ৩৬টা অনুস্বাক্ষর লাগত। ১৭ বছর লেগেছে সেটি করতে। এটি বৈশ্বিক বাস্তবতা।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নদীর জীবন যাতে ঠিক থাকে, নদীনির্ভর মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকারটুকুর দাবি উপস্থাপন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেব। আন্তর্জাতিক যে আইনগুলো আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরব।

‘বাংলাদেশের মানুষকে আশা হারালে চলবে না। দেয়া না দেয়া আমার ক্ষমতার মধ্যে নেই, কিন্তু আমাকে তো সবসময় আমার কথা বলতে হবে। সে কথাটা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।’

ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তো আলোচনায় যেতেই হবে। তাদের সাথে কুশিয়ারা, ফেনী নিয়ে চুক্তি আছে। গঙ্গা চুক্তি রিনিউ করার বিষয় আছে। ৫৪ অভিন্ন নদী ছাড়া আরও কিছু অভিন্ন নদী আছে। অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব। তারা সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের বড় ভূমিকা আছে। ভারতের সঙ্গে আমরা অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখব।

‘আমাদের যে দাবিদাওয়া, সেগুলো আমরা জোরালোভাবে পেশ করব। আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও কথা বলব যে, এটি ন্যায্য দাবি। জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই তাদের ন্যায্য দাবির ব্যাপারে। বাংলাদেশের নদীগুলোর জীবন বাঁচানোর ব্যাপারে আমাদের যা বলার বলব; ইতোমধ্যে বলেছিও।’

এ বিভাগের আরো খবর