অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জাপান। তারা বলেছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হলে বাংলাদেশে তাদের চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সোমবার সচিবালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন। পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ড. সালেউদ্দিন বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। রাজনীতিতে যেসব ঝামেলা বা জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে। বাংলাদেশে চলমান তাদের সব প্রকল্প অব্যাহত রাখার আহ্বান করা হয়েছে।’
এ সময় বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পের সময়মতো অর্থছাড়ের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নে আমরা তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছি। এ ছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্প নিয়েও তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে তা এখন বলব না। সব কথা বলা ঠিক হবে না।’
জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বেশি করে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক বিনিয়োগ না বাড়লে আমাদের রিজার্ভ সমৃদ্ধ হবে না। এ কারণে আমাদের ইপিজেডগুলোতে তাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দিক থেকে আমি জাপানি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
স্টুডেন্ট ভিসার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাপানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা ও স্কলারশিপসহ সব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর অনুরোধ করেছি রাষ্ট্রদূতকে।’
জাপানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে সব বিষয়ে তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।
‘মোট কথা বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’