বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:৫৮

খায়রুল হক দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাসস।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ রোববার নোটিশটি পাঠান।

আইনজীবী বলেন, ‘ডাকযোগে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর কয়েকটি নির্বাচন হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে গত সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বিচার বিভাগের সামনে আনা হয়।

‘তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বলেন। তার অবসরের ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় বাংলাদেশে এক কুৎসিত সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।’

খায়রুল হক দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘খায়রুল হক শুধু সংবিধানের বিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা রোপণ করেন। সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।’

এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নৈতিক দুর্নীতি, অসদাচরণ ও এর ফলে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়।

এক দশকের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর গত সপ্তাহে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর