আগামীতে পুলিশ কমিশনের অধীনে চলবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার বলেছেন, এ বাহিনীকে যারা দানবে পরিণত করেছে, তাদেরও বিচার হবে।
রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদরদপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশরা ভবিষ্যতে যেন মানবিক পুলিশ হয়, সে জন্য আমরা পুলিশ কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা করছি। পুলিশ সদস্যরাও বলেছেন, পুলিশ কমিশনের অধীনে থাকতে চাই। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। পুলিশকে দানব বানানো হয়েছে। যারা এটি করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার হবে।’
সাখাওয়াত বলেন, ‘সরকারি অ্যাকশন নিতে গেলে অনেকগুলো প্রসেস আছে, যেগুলো টপটপ করা যায় না। সুতরাং ধৈর্য ধরতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দল গোছানোর বিষয়ে সোমবার যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক কথার মধ্যে অনেক কথা চলে আসে। যদি আমি এমন কোনো কথা বলে থাকি, সেটা ভুল বুঝেছেন, সেটার জন্য আমি দুঃখিত।’
১৫ আগস্ট ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা এখনই আমি বলতে পারব না। আজ বিকেলে আমরা বসব। সেখানে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা হয় আমরা নির্ধারণ করব। ‘সেদিন প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কেউ যাতে কোনো ধরনের গণ্ডগোল করতে না পারে।’
পুলিশের কাজে যোগদান নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই যোগ দিচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার বলতে পারব কয়জন আসছে, কয়জন আসেনি। আর আপনারা তো দেখছেন পুলিশ আমার সঙ্গে আছে।
‘আমি ছাত্রদের উদ্দেশে বলব, তোমাদের আন্দোলন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এই আন্দোলনের তো ইমেজ আছে। আর পুলিশ তো অনুতপ্ত। আমি তোমাদের ক’জনকে দাওয়াত করি, আমরা একসঙ্গে বসে পুলিশের সঙ্গে দুপুরে খাব।’
অস্ত্র জমা দেয়ার বিষয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘যারা অস্ত্র ছিনতাই বা লুট করেছে, তাদের ফেরত দিতে বলেছি। যদি জমা না দিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে দুই রকমের শাস্তি পাবেন।
‘নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাই ও নিষিদ্ধ অস্ত্র পাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। সুতরাং নিজেরা ভয়ে আসতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে জমা দেন।’