বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংস্কার দাবি জাপার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ আগস্ট, ২০২৪ ২৩:২১

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক শক্তি ও সরকার যদি আরও সংস্কার প্রয়োজন মনে করে তা সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে জাতীয় পার্টির। একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

মুজিবুল হক বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। গেল ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশসহ সবার দুর্নীতির তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

আইনের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক শক্তি ও সরকার যদি আরও সংস্কার প্রয়োজন মনে করে তা সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

চুন্নু বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। পুলিশ বাহিনীর যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। আন্দোলনে যেসব নেতা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেক পরিবারে অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। থানা লুট ও পুলিশ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রাধিকার, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ফ্রিল্যান্সারদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। পাঠ্যবইয়ের অসঙ্গতি দূর করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবমুক্ত করতে হবে।

বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ সেপারেশনের ব্যবস্থা এবং উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করতে হবে। বর্তমান সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে। একজন নাগরিক যেন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন। আবার যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি যেন সংসদ নেতা না হতে পারেন।

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, নাজমা আকতার, আলমগীর শিকদার লোটন, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর