বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার পতন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান ফখরুলের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:৫০

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তথা আপামর জনসাধারণের উত্থাপিত এক দফা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা ঘোষণা করছে। জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্রপ্রিয় আপামর জনসাধারণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রাজপথে নেমে এসে ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। শত শত শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ইনশাআল্লাহ ছাত্র-জনতার বিজয় অবশ্যম্ভাবী।’

ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‌এই আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বেগম সেলিমা রহমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তথা আপামর জনসাধারণের উত্থাপিত এক দফা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা ঘোষণা করছে। জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রপ্রিয় আপামর জনসাধারণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রাজপথে নেমে এসে ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। শত শত শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ইনশাআল্লাহ ছাত্র-জনতার বিজয় অবশ্যম্ভাবী।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে ছাত্রদের এই যৌক্তিক, ন্যায়সঙ্গত, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। আজ আমরা তাদের নতুন ঘোষণাকে সমর্থন জানাচ্ছি এবং এই ভয়াবহ দানবীয় খুনি শাসকগোষ্ঠীর পতনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি, পেশাজীবী, শ্রমিক, কৃষকসহ আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ আড়াল করতেই তথাকথিত তৃতীয় পক্ষ আবিষ্কারের জন্য সরকারের বিরামহীন প্রচেষ্টা চলছে, যা জনসাধারণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

‘সরকার প্রথম থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক দাবি অস্বীকার করে দমন করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে দেশকে ধ্বংস ও নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলন বলপূর্বক দমন করতে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে চলছে নজিরবিহীন তৎপরতা। দেশে আজ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। চারদিকে শুধু অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা। এর সম্পূর্ণ দায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ আওয়ামী লীগ সরকারের।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে গণহত্যা, নৈরাজ্য, ধ্বংস, দমন, নিপীড়ন দেখে সারা বিশ্ব স্তম্ভিত। সরকার ছাত্র, যুবক, শিশু, নারীসহ জনতাকে নির্বিচারে নির্দয়ভাবে হত্যা করে মানবতাকে হত্যা করেছে। সরকারের মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়েছে। দেশ-বিদেশে সরকার ধিকৃত ও ঘৃণীত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সকল জনপদ ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ বিদ্রোহে মুখরিত। সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক, আইনজীবী, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, শ্রমজীবী মানুষসহ ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে শামিল হয়ে গণজাগরণের সৃষ্টি করেছে। গড়ে উঠেছে অভাবনীয় জাতীয় ঐক্য, জনগণের ঐক্য। সমগ্র দেশ আজ গণহত্যাকারী সরকারের বিরুদ্ধে একাট্টা। গ্রাম ও শহরের ঘরে ঘরে আর্তনাদের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে খুনি সরকারের পদত্যাগের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ এক গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছে। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাঈদ, মুগ্ধসহ শত শত নিরীহ ছাত্র-শিশু ও জনতার রক্তে অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর হাত রঞ্জিত হয়েছে। জনগণ এই ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে।

‘ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী, চাকরিজীবী, মা বোন, পিতা-মাতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, লেখক আজ এক কাতারে। দলমত, বয়স, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ ফুঁসে উঠেছে ক্রোধে। দ্রোহের মিছিলে শরিক হচ্ছে সব স্তরের, সব শ্রেণির, সব বয়সের মানুষ। আমি তাদের অভিবাদন জানাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে, নজিরবিহীন দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। এখন ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনকে নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে শত শত তাজা প্রাণের রক্ত ঝরিয়েছে। শত শত মায়ের বুক খালি করেছে, শত সন্তান পিতাকে হারিয়েছে। এমনকি চার বছরের শিশুও রেহাই পায়নি।

‘গণহত্যার মাধ্যমে ছাত্রদের আন্দোলনকে দমনে ব্যর্থ হয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে ক্ষমতাসীনরা। ছাত্র-জনতার ঐক্যের মধ্যদিয়ে যে আন্দোলন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত, তাকে স্তব্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর