বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীসহ ১১ জেলায় নিহত কমপক্ষে ৩২, আহত শতাধিক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:৫৮

রাজধানীতে একজন, ফেনীতে পাঁচজন, সিরাজগঞ্জে চারজন, মুন্সীগঞ্জে তিনজন, বগুড়ায় তিনজন, মাগুরায় তিনজন, ভোলায় তিনজন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে, রংপুরে তিনজন, পাবনায় তিনজন, কুমিল্লায় একজন ও বরিশালে একজন নিহত হয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ চলছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সংঘাত-সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকা ও ১১ জেলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীতে একজন, ফেনীতে পাঁচজন, সিরাজগঞ্জে চারজন, মুন্সীগঞ্জে তিনজন, বগুড়ায় তিনজন, মাগুরায় তিনজন, ভোলায় তিনজন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে দুজন, রংপুরে তিনজন, পাবনায় তিনজন, কুমিল্লায় একজন ও বরিশালে একজন নিহত হয়েছেন।

রাজধানীর জিগাতলায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে এক শিক্ষার্থী গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার নাম আবদুল হক সিদ্দিকী। তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সিলেটের গোলাপগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রোববার দুপুর ২ টায় এই সংঘর্ষ বাধে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বারকুট গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদর্শন সেন দুজনের মৃত্যুর তথ্য মিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। যদিও তা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র নিশ্চিত করেনি।

ফেনীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা অসহযোগের সমর্থনে মহিপাল এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন। তবে দুপুর ২টার দিকে মহিপাল সেতুর নিচে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত হন কমপক্ষে ১০জন।

সংঘর্ষে হতাহতদের ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আসিফ ইকবাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বলেন, এ মুহূর্তে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঁচজনের লাশ রয়েছে। তারা সবাই মহিপালে সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেছেন।

রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংর্ঘষে চারজন নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গের দায়িত্বে থাকা আব্দুল জলিল দুজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও দুজন নিহত হওয়ার তথ্য জানান।

পাবনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকেও সেখানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছিল।

রোববার সকাল থেকে বগুড়ায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাজারো জনতা। শহরের মোড়ে মোড়ে রাস্তায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত বগুড়া শহর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা। এখন পর্যন্ত জেলায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মুন্সীগঞ্জে এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। তবে তিনি কখন এবং কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর