বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শোকাবহ আগস্ট শুরু, মাসব্যাপী কর্মসূচি আওয়ামী লীগের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ জুলাই, ২০২৪ ২৩:৩০

১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। অবশ্য শোকের মাস উপলক্ষে আগস্টের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচি।

শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হলো বৃহস্পতিবার। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য।

২০০৪ সালে এই মাসের ২১ তারিখে জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। অবশ্য শোকের মাস উপলক্ষে আগস্টের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচি।

বুধবার দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোকের মাসের শুরুতে ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করার কথা রয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের। একই সময়ে মৎসজীবী লীগ সেখানে মোমবাতি প্রজ্বালন এবং খাবার বিতরণের কর্মসূচি দিয়েছে। ছাত্রলীগ করবে আলোক প্রজ্বালন।

১ আগস্ট সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে কৃষক লীগের আয়োজনে রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, ‘মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।’

টাইমস অফ লন্ডন-এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়- ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।’

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর