টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের রসুলপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের ফরিদ হোসেনের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা লটকন। বাগান নিয়ে খুশি ফরিদ।
কয়েক বছর ধরে অর্থ আয় করছেন এ কৃষক। তার বাগান দেখে লটকন চাষে আগ্রহী হয়েছেন গ্রামের অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি মাটি লটকন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। লাভজনক হওয়ায় এ মাটিতে লটকন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ঘাটাইলের অনেক কৃষক।
জাঙ্গালিয়া গ্রামে লটকন বাগান দেখতে আসা সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে লটকনের। অন্য ফলের তুলনায় লটকন চাষে খরচও অনেক কম। এমন একটি বাগান করার চিন্তা করছি।’
সরেজমিনে জাঙ্গালিয়া গ্রামের কৃষক ফরিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার বাগানে অন্য ফলের সঙ্গে অল্প কিছু লটকনের গাছ লাগিয়েছিলেন। মূলত শখ করেই ১০টি লটকন গাছ দিয়ে ছোট পরিসরে বাগান করেছিলেন তিনি। বাজারে লটকনের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় আর্থিকভাবে সফলতা পাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, এ বছর লাখ টাকার বেশি মূল্যের লটকন বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার কোনো খরচ নেই। পাইকার বাগানে এসে লটকন কিনে নিয়ে যান। বিক্রির কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
গুণগত মানভেদে লটকন মণপ্রতি দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, ‘লটকন উৎপাদনের জন্য ঘাটাইলের পাহাড়ি মাটি খুবই উপযোগী। লটকন চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম।
‘স্বাস্থ্যসম্মত ফলটি উৎপাদনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।’