মালয়েশিয়াকে তাদের বিখ্যাত অটোমোবাইল ব্র্যান্ড পেরোডুয়ার গাড়ি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে এই আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার পেরোডুয়া ব্র্যান্ডের গাড়ি পিএইচপি মোটরস বাংলাদেশে অ্যাসেম্বল করার কথা উল্লেখ করেন দেশটির হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। এই ব্র্যান্ডের গাড়ির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথাও তুলে ধরেন হাইকমিশনার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শুধু অ্যাসেম্বল না করে গাড়িটি পুরোপুরি বাংলাদেশে উৎপাদন করার কথা বলেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে আপনার সক্ষমতা বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আপনি পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিচ্ছেন এবং এটি একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। হাজনাহ মো. হাশিমকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, তার (রাষ্ট্রদূত) দৃষ্টিতে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ আছে। এই বিনিয়োগ মূলত দুটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি রবি এবং ইডটকো বাংলাদেশের। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী আছে উল্লেখ করেন হাজনাজ হাশিম।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য সুবিধার উল্লেখ করে দেশটির হাইকমিশনার বলেন, ‘তাদের স্বাস্থ্য সেবার মান সিঙ্গাপুরের মতো। তবে খরচ সিঙ্গাপুরের চেয়ে কম। সুতরাং বাংলাদেশীরা মালেশিয়ায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।