বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে চরম হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সূত্র: ইউএনবি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন মঙ্গলবার বলেন, ‘দেশের কোনো গণমাধ্যমে বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্যে এমন মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যে দুজনের মৃত্যুর দাবি ভিত্তিহীন। এ জাতীয় দাবি সহিংসতায় ইন্ধন জোগাতে পারে এবং শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’
সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় ১৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বাংলাদেশে চলমান শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে কমপক্ষে দু’জন নিহত হওয়ার ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।
‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং সরকার জনগণের সম্পত্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের অধিকার সমুন্নত রাখতে অবিচল রয়েছে। গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা আমরা ভয়াবহতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছি। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এ ধরনের সহিংসতা গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথকভাবে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ট্রাম্প নিরাপদ আছেন ও সুস্থ হয়ে উঠছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।’
গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র লিওনার্ড হিল বলেন, ‘বিবৃতিটি আহত ও নিহতের মনিটরিং রিপোর্ট-এর ভিত্তিতে ছিল।
‘আমরা সব সময় সবচেয়ে সঠিক তথ্য খোঁজার চেষ্টা করি এবং সত্য উদঘাটনে সাংবাদিকদের কাজকে স্বাগত জানাই।’