যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ভিলেজ পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে গত ৪৬ বছরেও সরকারি কোন বহুতল ভবন পাইনি বিদ্যালয়টি। ফলে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকায় ৩০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী বাজার সংলগ্ন ভেরটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর এলাকার দানশীল কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তিন রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল জোগাড় করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭ জন। সব নিয়মকানুন মেনে বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৮৬ সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করেন। চারটি গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় দিন দিন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবন বা ক্লাসরুম। সেই পুরাতন টিনশেড দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় সংখ্যা ৩০৫ জন। কিন্তু জরাজীর্ণ পুরাতন ওই ভবনে রয়েছে মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান ভবনের বারান্দায় এবং খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম বা কমনরুম। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।