জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের জন্য বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবনে ঢোকেন। আর বাকি শিক্ষার্থীরা গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে বসে অবস্থান নেন। দুইটা ৫৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি জমা দেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার, আবদুল কাদের।
এর আগে তিন দফায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে তাদের পূর্বঘোষিত পদযাত্রা শুরু হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা টিএসসি, শাহবাগ, মৎস্য ভবন মোড় হয়ে শিক্ষা ভবন মোড়ে এলে প্রথম দফায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা, তবে সেখানে কোনো ব্যারিকেড দেয়া ছিল না।
পুলিশ মানব ব্যারিকেড তৈরি করলে সেটি ভেঙে জিপিও মোড়ের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
পরে জিপিও মোড়ে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ৷ সেখানে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের আটকে দেয়া হয় এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধ করা হয় আর সামনে না যাওয়ার জন্য। তাদের ১০ জন প্রতিনিধি প্রেরণের প্রস্তাব করে পুলিশ।
এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে বঙ্গভবনে শিক্ষার্থীদের ১২ জন প্রতিনিধি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং বাকি শিক্ষার্থীরা জিপিও মোড়ে বসে পড়েন।
এদিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জিপিও মোড়ে অবস্থানের পর সেই মোড়ের ব্যারিকেডও ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যান, তবে পুলিশ ও যানজটের কারণে শিক্ষার্থীরা কয়েক ভাগ হয়ে যান।
কিছু শিক্ষার্থী গুলিস্তান মোড়ে চলে যান আর কিছু শিক্ষার্থী মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে যান। পরে এ শিক্ষার্থীরা পাশের রাস্তা দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এলে বাকি শিক্ষার্থীরা সেখানে থাকা পুলিশের মানব ব্যারিকেডও মাড়িয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট এগোলে ফের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা।