আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি ও তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মিথ্যাচার ও অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়ায় দলটি বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। তার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’
কাদের বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। দলটি জনগণের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে সক্রিয় করে। আর এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ান।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।’
যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক।