স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট ওয়ার্ল্ডের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়তে চাই। সেজন্য আমি নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ সূত্র: বাসস
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আরাফাত এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ায় সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে আওয়ামী লীগের গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা, লালন করা এবং জনগণের মধ্য থেকে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে উঠা আর কোনো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে মূলধারায় নেই।
‘কিছু দল আছে যারা ক্যান্টনমেন্টে বিভিন্ন সামরিক শাসকের পকেট থেকে জন্ম নিয়েছে অথবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল। আরও কিছু দল আছে যারা খুবই দুর্বল এবং কিছু দাবি-দাওয়া করা ছাড়া তাদের আর কোনো সক্ষমতা নেই।’
আলী আরাফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যাদেরকে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। এদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আওয়ামী লীগ পূরণ করেছে।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়ও দলটির অবদান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির যাত্রায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গৃহীত উন্নয়ন নীতিগুলো ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত তুলে ধরতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সারাদেশে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য ও শাকুর হোসেন শাকু, দপ্তর সম্পাদক আরমান হোসেন অপু, উপ-দপ্তর সম্পাদক নাহিদুল আলম নাদিম, উপ-প্রচার সম্পাদক শরীফ হাসান প্রমুখ।