আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, এদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি সব ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের চর্চা করে। অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিটি স্তরে দেশের সংবিধান, দলের গঠনতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুসরণ করে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলে এ ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চার নজির নেই।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেতু ভবনে এই সাক্ষাতে নতুন সরকারের গত ছয় মাসের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও অগ্রাধিকার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।
বৈঠককালে উভয় পক্ষ যে কোনো দেশে টেকসই গণতন্ত্র বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের নীতিগত অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে দলের নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অধিকসংখ্যক নারী নেতৃত্ব অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ দলের নেতৃত্বসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
তিনি ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় রাজনৈতিক দলগুলোতে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে সারাহ কুক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পক্ষে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।