সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।
বুধবার নির্বাচন ভবনে দেশের পাঁচটি পৌরসভার বিভিন্ন পদে নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওনারা প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্য এখানে এসেছে, শুরুটা কীভাবে হলো, কোথায় উলট-পালট হলো- এসব ডিটেইল কমিটি তদন্ত করছে।
‘তদন্ত কমিটি আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। আমরা বিস্তারিত ও নিঁখুতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক।’
সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা বা তাদের যোগসাজশ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। এখানে কারও বিন্দুমাত্র ইনভলভমেন্ট থাকলেও আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা এনশিউর করব।’
প্রসঙ্গত, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ জোসেফ নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ আছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডিতে পিতার নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন নামে তিনি কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন বলে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোথায় কোথায় তিনি ছিলেন, কী কী কাজে সেই নামগুলো ব্যবহার করেছেন, তার আত্মীয়-স্বজনরা এটা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন- এসব তথ্য নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
‘তদন্ত কমিটি এ নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করছে। পুরোদমে একজন যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।’
শফিউল আজিম বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর যেন না থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। আমরা নিখুঁত, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করব।’