বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভেঙেছে পাত খুলেছে নাট, জীবনের শঙ্কা স্টিল ব্রিজে

  • প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ   
  • ২৫ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৬

গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কে কুমার নদের ওপর ১১২ মিটার দীর্ঘ স্টিল ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে।  পারাপারের একমাত্র সেতুটি কয়েক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে মেরামত করলেও কিছুদিন পরই ফিরছে একই অবস্থায়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে অনেকে।

ঝিনাইদহের শৈলকূপার স্টিলের সেতুটি পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে সেতুর পাটাতন। ভেঙে গেছে ব্রিজের নিচের লোহার পাত। অনেক অংশে নাটও খুলে গেছে। বেশিরভাগ স্থানে দেবে গেছে পাটাতন। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালে গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কে কুমার নদের ওপর ১১২ মিটার দীর্ঘ স্টিল ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় সড়ক ও জনপথের অধীনে থাকলেও বর্তমানে এটি এলজিইডির আওতাধীন। নদী পারাপারের একমাত্র সেতুটি কয়েক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবারও ফিরছে একই অবস্থায়। জং ধরে ছিদ্র হওয়া গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছে অনেকে।

জং ধরে স্টিল ব্রিজের নাট খুলে পড়ছে। ছবি: নিউজবাংলা

বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্টিলের এই ব্রিজ দিয়ে গাড়াগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু ব্রিজের অনেক স্থানে জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। মাঝখানে ভেঙে যাওয়া লোহার পাত যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

একই গ্রামের নাদির শেখ বলেন, ‘ব্রিজের মাঝ থাকে গর্ত হওয়ার কারণে প্রায়ই ওই গর্তে পড়ে মানুষের হাত-পা কাটছে। সাইকেলের চাকা আটকে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে চালক। আর এমন দুর্ঘটনা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওই সড়কে চলাচলকারী আলম উদ্দিন নামের এক করিমন চালক বলেন, ‘আমরা তো ভয়ে ভয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছি। মাঝখানে ব্রিজের নিচের লোহার পাত ভেঙে গেছে। যে কারণে গাড়ি নিয়ে এলে ওই অংশে উপরের পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় পাত ভেঙে নদীতে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল।’

সেতুর মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা পাতের নিচের স্টিল ফ্রেম ভেঙে যাওয়ায় যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা প্রবল। ছবি: নিউজবাংলা

পারভেজ হোসেন নামের এক গাড়িচালক বলেন, ‘যখনই ব্রিজের মাঝখানে গাড়ি যাচ্ছে তখন পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। কখন জানি ভেঙে যায় এ ভয়ে সবাই পারাপার হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন নির্মাণ করা হোক।’

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপাতত নতুন কোন ব্রিজ ওখানে নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য আমরা মেরামত করছি। আগামীতেও এই মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর