বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, খুলছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২৩ জুন, ২০২৪ ১৫:৪৭

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে রোববার দুপুর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে, তবে পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সকলকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হওয়ায় রোববার পানি আরও কমেছে।

এমন পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটন কেন্দ্র রোববার খুলে দেয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রোববার সিলেটে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন আট লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৯ হাজার ৭৩৮ জন, তবে পানি কমায় গত ২৪ ঘণ্টায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।

জেলায় পানি কমলেও বন্যা আক্রান্তদের দুর্ভোগ কমেনি; বরং পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বন্যার ক্ষত। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সড়কের।

সিলেটের বেশির ভাগ সড়কই ভেঙে গেছে। ভেঙে গেছে জলমগ্ন হওয়া কাঁচা বাড়িঘর। ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক, তবে এখনও পানি পুরোপুরি না নামায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

পানি নেমে যাওয়ায় শনিবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার দিনমজুর কবির আহমদ।

তিনি বলেন, ‘এতদিন তবু আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। মাথাগোঁজার ঠাঁই ছিল। কিছু একটা খাবারও মিলত, কিন্তু এখন বাড়ি ফিরে আরও বিপদে পড়েছি।’

কবির আরও বলেন, ‘পানিতে পুরো ঘর ভেঙে গেছে। ঘরে কিছু জমানো ধান ছিল। সেগুলোও পানিতে ভেসে গেছে। এখন থাকব কোথায় আর খাব কী?’

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পানি পুরো নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

খুলে দেয়া হলো জাফলং ও রাতারগুল

পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকা সাপেক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা পর্যটন কমিটি জাফলং রোববার পর্যটন কেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে।

জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে নৌ চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোটমালিক, নৌ চালক-মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে রোববার দুপুর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে, তবে পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সকলকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

বন্যার কারণে গত ১৭ জুন থেকে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর