সারা দেশে গতকাল সোমবার উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীবাসীকে পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণেই অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছেন বলে জানান।
ওয়ারি এলাকার বাসিন্দা তৈমুর বলেন, ‘ঈদের দিন মৌসুমি কসাই দিয়ে কোরবানি দিতে পারতাম, কিন্তু তারা মাংস ঠিকমতো বানাতে পারে না। ঈদের দিন পেশাদার কসাইয়ের সংকট থাকে। তাই আমরা পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।’
চাঁদ রাতে গরু কিনে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। ঈদের দিন কসাই ঠিক করতে না পারায় আজ কোরবানি দিচ্ছেন বলে জানালেন খিলগাঁওয়ের সোহান।
মুগদার কসাই আলমগীর বলেন, ‘এ বছর রাজধানীতে প্রায় ৫০ লাখ গরু-ছাগল কোরবানি হয়েছে। পেশাদার কসাইয়ের সংকট থাকাটাই স্বাভাবিক। গতকাল সাতটি গরু কেটেছি আজ চারটি গরু কাটার অর্ডার রয়েছে।’
তিনি জানান, ঈদের দিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হাজারে নিয়েছেন। আজ হাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা নিচ্ছেন। আজ এ নিয়ে দুটি গরু কেটেছেন তিনি।
পশু কোরবানির পর দ্রুত বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার কোরবানির দিন সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের লোকজন শহর পরিষ্কারের কাজে নামে। প্রতিটি এলাকাতেই পরিষ্কার অভিযান চালাচ্ছেন তারা। গতকাল অনেক এলাকাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি দুই এলাকায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।