নেত্রকোণার বারহাট্টায় গভীর রাতে নিয়ে যাওয়ার সময় হ্যান্ডট্রলিভর্তি ৮০ বস্তা চাল জব্দ করেছে এলাকাবাসী। এসময় ট্রলির চালক বাপ্পী মিয়াকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাউসী এলাকার একটি সড়ক থেকে ওই চাল জব্দ করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে চালগুলো জব্দ করে চালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বারহাট্টা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, চালগুলো ভিজিএফের। বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থদের বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছিল, কিন্তু চেয়ারম্যান এসব চাল বিতরণ না করে রাতের আঁধারে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন।
তবে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে আসা বরাদ্দকৃত চাল ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সঠিকভাবে বণ্টন করেছি। জব্দ করা চালগুলো কার, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
আটক ২৭ বছর বয়সী বাপ্পী জেলা সদরের বাইশদার গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, চাল ও চালককে আটক করে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। এ ঘটনায় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সৈকত আহমেদ নূরী নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।
সৈকত আহমেদ নূরী বলেন, ‘আটক করার সময় হ্যান্ডট্রলির চালককে আমরা জিজ্ঞেস করে জেনেছি, চালগুলো ভিজিএফের। ঈদ উপলক্ষে রায়পুর ইউনিয়নের দুঃস্থদের বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল এগুলো, কিন্তু চেয়ারম্যান রাজু ভাই চালগুলো রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছিলেন।
‘চালগুলো রায়পুর থেকে ঠাকুরাকোণার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
বারহাট্টা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চালগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে চালভর্তি হ্যান্ডট্রলি ও এর চালককে থানায় নিয়ে এসেছি। এগুলো কীসের চাল, তা জানা যায়নি।’
ওসি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘চালগুলো সাদা বস্তায় ছিল। কোনো সরকারি বস্তায় না থাকায় নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টির তদম্ত করা হচ্ছে।’