বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাল্টাপাল্টি খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত শাহপরীর দ্বীপ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৪ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৩

টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিহত রেজাউল করিমের আত্মীয়-স্বজন অভিযুক্তদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। এরপর দক্ষিণপাড়া মসজিদ-সংলগ্ন জোবায়েরের দোকানে এসে সাইফুল নামের একজনকে অতর্কিত হামলা করে চলে যায়।’

শত্রুতার জেরে পাল্টাপাল্টি খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ। রেজাউল করিম নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর প্রতিপক্ষের এক যুবককে হত্যা করে তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রেজাউলের পক্ষের লোকজন ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি ওই গ্রামের ইমান হোসেন হোসেনের ছেলে।

টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘নিহত রেজাউল করিমের আত্মীয়-স্বজন অভিযুক্তদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। এরপর দক্ষিণপাড়া মসজিদ-সংলগ্ন জোবায়েরের দোকানে এসে সাইফুল নামের একজনকে অতর্কিত হামলা করে চলে যায়।’

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিহত রেজাউলের স্বজনরা অভিযুক্তদের খুঁজতে থাকেন। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে তারা স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পাশেই অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে দক্ষিণপাড়া মসজিদ-সংলগ্ন জোবায়েরের দোকানে সাইফুলকে পেয়ে তাকে হত্যা করেন।

তবে সাইফুলের রেজাউল হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা ছিল না বলে জানান স্থানীয়রা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দোকানদার জোবায়ের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাইফুল আমার দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল। এমন সময় মিস্ত্রি পাড়া থেকে ২০-৩০ জন লোক এসে তাকে ধরার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে সে আমার দোকানে ঢুকে পড়ে। তবে তারা তাকে জোর করে দোকান থেকে বের করে এলোতাপাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন সাইফুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে নাকি সে মারা যায়।’

তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে হানিফ নামের এক স্থানীয় বলেন, ‘শুনেছি, এক বছর আগে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রেজাউল এবং তার পক্ষের জয়নাল নামের এক লোক ক্যারাম খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তারপর তাদের মধ্যে মারামারি, ভাঙচুর, হুমকি-ধামকি চলে আসছে।

‘একসময় দুপক্ষ মামলাও করে। দেড় বছর ধরে চলে সেই মামলা।’

তিনি জানান, প্রতিপক্ষের মামলায় রেজাউল এক নম্বর আসামি ছিলেন। রেজাউলের একটি ভাইও এ মামলায় কারাগারে ছিল। এ মামলায় সবশেষ জামিনে ছিলেন রেজাউলসহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার সকালে মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় খুন হন রেজাউল। পরে দাফন সম্পন্ন হলে তার স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেন এবং সাইফুলকে হত্যা করেন।

হানিফ বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনলাম, সাইফুল নামের যে ছেলেটি মারা গেছে, সে রেজাউল করিম হত্যায় জড়িত ছিল না। তাহলে কেন তাকে মারল ঘাতকরা?’

নিহতের সাইফুলের বাবা ইমান হোসেন বলেন, ‘খুনিদের না পেয়ে কেন আমার ছেলেকে হত্যা করল? ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি আমি।’

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘রেজাউল করিম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই পক্ষের কেউ এখনও মামলা করে নাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর