কক্সবাজার টেকনাফে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলোতাপাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়া কবরস্থানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত যুবক টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের মৃত হামিদ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় হত্যাকাণ্ডের হোতা মো. ফরহাদ ওই এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন জেনে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তাকে না পেয়ে তার মা এবং বাড়ির পাশ থেকে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার সকালে একটি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কক্সবাজারের আদালতে যাচ্ছিলেন। পথে ওই মামলার বাদী পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে অটোরিকশার গতিরোধ করে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজাউলের হাতে কোপ দেয়। এ সময় রেজাউল অটোরিকশা থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর হামলাকারীরা তাকে ধরে এলোতাপাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন রেজাউলকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক নওশাদ আলম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতের দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র বা লোহার রড ধরনের কিছুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
এ ব্যাপারে নিহতের মা সাজিদা বলেন, ‘সকালে আমার ছেলে কক্সবাজার আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যাচ্ছে এমন সময় পেঠানের ছেলে ফরহাদসহ কয়েকজন তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘পূর্বশত্রুত থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। হত্যা মামলা রুজু করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’