সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় ডিবির হাতে আটক হওয়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি যদি প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণের পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। মিন্টুর কাছে তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে।
‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যদি মিন্টু সদুত্তর দিতে পারেন তবে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। আর কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারলে তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার তাই করা হবে।’
মিন্টুকে গ্রেপ্তার না দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আমরা নিয়ে আসি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি তখন অবশ্যই কিছু তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই আনা হয়। প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু অকপটে স্বীকার করেন যে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়া ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন। শিমুল ভূঁইয়া এমপি আনার হত্যার পর গ্যাস বাবুকে সেই ছবি দেখিয়েছেন।’
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এটাও বলে রাখতে চাই, কারও প্ররোচনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে কোনোভাবে হয়রানি করা হবে না।’
তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে সব মামলার ঘটনা তদন্ত করেন উল্লেখ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করে না। কারণ তারা জানে ডিবির সব চৌকস টিম মামলার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী দেশে কিংবা বিদেশে থাকলেও তাদেরকে খুঁজে বের করে আনে। কোনো নিরীহ লোককে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুনিরা ঠাণ্ডা মাথায় এমপি আনারকে খুন করার পর মরদেহ গুম করে। আমরা বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মধ্যে মূল ঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করেছেন।
‘আনার হত্যার ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে গ্রেপ্তার আসামির সঙ্গে কথা বলেছি।’