নওগাঁ সদর উপজেলায় এক গ্রাম্য মাতব্বরকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।
থানা চত্বরে বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শহরের দপ্তরীপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামের সুজাত আলি (৩২) এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মেহেদি হাসান (২৮)।
প্রাণ হারানো নাজিম উদ্দীন ফকির শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুরের গ্রাম্য মাতব্বর।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘গত ১০ জুন রাত ১১টার দিকে বিলভবানীপুর শুকুরের মোড় হতে নাজিম উদ্দিন ফকির (৬০) মোটরসাইকেল নিয়ে মৎস্যজীবী পাড়ায় একলাসের বাড়িতে স্থানীয় সালিশ দরবার করার জন্য যান। সালিশ শেষে বাড়ি ফেরার সময় ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বাড়ির প্রবেশ পথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে গুরুতর জখম করে নাজিম উদ্দিনকে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ঘটনায় পরে মামলা দায়ের করা হয়।
কী কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন বছর পূর্বে স্থানীয় এক নাপিতকে মারধরের অপরাধে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে মাতব্বর নাজিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েক জন মাতব্বর সুজাত আলিকে মারধর ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরই জের ধরে সুজাত বন্ধু মেহেদি হাসানকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রাম্য সালিশ একটি অবৈধ প্রথা। আমরা চেষ্টা করছি গ্রাম্য সালিশ প্রথা বন্ধ করতে।’