বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ জুন, ২০২৪ ২২:৩৪

পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত। অটুট সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চেতনা সবসময় প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের পথ দেখিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় অভিযোজন কর্মসূচি চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় তিনি প্রথম এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। সূত্র: বাসস

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে প্রণীত জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।

‘জিসিএ-এর নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী পুরস্কার প্রাপক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকবেন।’

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগের ওপর প্রথম দেশ হিসেবে ইনোভেশন ইন ডেভলভিং ফাইন্যান্স বিভাগে গ্লোবাল লোকাল অ্যাডাপ্টেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড (এলওজিআইসি) পেয়েছে বাংলাদেশ।

পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত। অটুট সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চেতনা সবসময় প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের পথ দেখিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীলতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে এবং আমরা একটি সমৃদ্ধ ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে আমাদের যাত্রায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের অমূল্য সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।’

তিনি ভারকুইজেনকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং জিসিএ’র সিইও একমত হন যে উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য জলবায়ু তহবিলে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।

ভারকুইজেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাকে এই দাবিতে আরও সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান।

ভারকুইজেন ডেনমার্কের জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ ছাড় করায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, অন্যথায় ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ফেরত যাবে।

জিসিএ নেদারল্যান্ডসের রটারডামে তার অফিসের মতোই ঢাকা সংলগ্ন একটি আইকনিক প্রকৃতি-ভিত্তিক ভাসমান অফিস নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। যে অফিসটি এর স্বতন্ত্রতার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে।

কার্যালয় নির্মাণে কুতুবদিয়াসহ ঢাকার বাইরের এলাকা বিবেচনা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর