ঝালকাঠির বাসন্ডা এলাকার নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসায় ফুটবল খেলার কারণে তিন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে মো. সালাহ উদ্দিন নামের ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক।
নেছারাবাদ মাদ্রাসার তাহেলি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আহতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লাহ, পটুয়াখালীর ছোট দিঘাই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রুবায়েত এবং ভোলা জেলা সদরের চরনোয়াবাদ গ্রামের মাহমুদ হাসানের ছেলে ইয়াসিন হাসান নাইম। তাদের সবার বয়স ১৬ বছর। এদের মধ্যে ইয়াসিন হাসান নাইম গুরুতর আহত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আহতদের সহপাঠিরা বলে, মাদ্রাসার তাহেলী আবাসিক বিভাগের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ, রুবায়েত ও নাইম। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে বাইরে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল তারা। খেলা শেষে মাদ্রাসায় ফিরলে শিক্ষক মো. সালাহ উদ্দিন তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ফুটবল খেলার অপরাধে তাদের বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে নাইমের সমস্ত শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকরা তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার দুপুরে তাদের ডেকে নিয়ে সালাহ উদ্দিন হুজুর বেত দিয়ে মারতে শুরু করেন। অনেক অনুনয় আর কাকুতি-মিনতি করলেও মন গলেনি তার।
এদিকে, আহত শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান অনেকে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’