বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুরে যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু, নির্ঘুমে এলাকাবাসী

  • প্রতিনিধি, জামালপুর   
  • ৯ জুন, ২০২৪ ১৮:০০

মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙনে প্রায় তিন কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী-তীরবর্তী চরের কয়েক শ’ হেক্টর ফসলি জমি ফসলসহ চলে গেছে নদীতে।

জামালপুরের যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। আশ্রয়হীনতার ভয় আর আতঙ্কে অনিশ্চিত দিন পার করছেন নদী পাড়ের মানুষ। তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম। কোনো ত্রাণ নয়, স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষ।

জামালপুরের পাঁচটি উপজেলার সীমানা বেষ্টিত প্রবহমান যমুনা নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে এখানকার অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার এই নদীই বহু পরিবারকে নিঃস্ব করে পথের ফকির করেছে।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল এলাকায় ১৫ দিন ধরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক পরিবার গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় খুঁজছেন।

ভাঙনের কবলে পড়ে নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার তীর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী-তীরবর্তী চরের কয়েক শ’ হেক্টর ফসলি জমিতে আবাদ করা হয়েছিলো মরিচ, ঘাস, পাটসহ অন্যান্য মৌসুমী ফসল। কয়েক দিনের ভাঙনে তা চলে গেছে নদীগর্ভে।

স্থানীয় বাসিন্দা শরিফউদ্দিন জানান, নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু বাড়ি-ঘর কয়েক দিনে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে ফসলি জমি বিলীন হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়বে চর চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল গ্রামের যমুনা নদীর তীরবর্তী কয়েক হাজার বাসিন্দার ঘরবাড়ি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য স্থাপনাও ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনই ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। তাতে করে নিঃস্ব হবে অনেক মানুষ। বাড়বে ক্ষতির পরিমাণ।

নদী তীরের বাসিন্দা আবু হাসেম বলেন, ‘ভাঙন আতঙ্কে আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না। নদীর পাড় ভেঙে পড়লে ভূমিকম্পের মতো মাটি কেঁপে ওঠে। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। আমাদের দেখার কেউ নেই। সরকার যদি স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করে তাহলেই কেবল আমরা বাঁচতে পারব।’

একদিকে বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও অন্যদিকে আবার ভাঙন শুরু হচ্ছে। তাই স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় শাহিনুর বেগম জানান, ১০/১৫ দিন ধরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদী-তীরবর্তী কয়েক শ’ হেক্টর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার গাছপালা, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলের জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার তীর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারের কোনো ত্রাণ বা সাহায্য নয়, এখানে স্থায়ী বায়ধের দাবি জানান তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙনকবলিত মাদারগঞ্জের চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পাকরুল এলাকায় ৭০ মিটার ও ইসলামপুর উপজেলার কাটমা এলাকায় ৩০০ মিটার অংশে ভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চলমান।

পাশাপাশি পাকরুল এলাকায় ১৫শ’ মিটারের স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়াও কাটমা এলাকায় সমীক্ষা প্রকল্পের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর