প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা বাসস।
অনুষ্ঠানে আট হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা যাবে। এ ছাড়াও নেতারা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে, অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে এবং বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিল্লিকে বহু-স্তর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর গতকাল সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন, ভিভিআইপি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন।
পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা গতকাল সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন।
সোমবার বিকেল ৫টায় (নয়া দিল্লির সময়) ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে এবং ওই দিন রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।’
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিজয়ের জন্য মোদিকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।