মুন্সীগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছন আরিফুলের ছোট ভাই উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান হালদার এবং টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার।
মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন ওই ৯ জন।
শুনানি শেষে আদালতের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তাদের কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
গত ৮ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে দিঘীরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহরাব খান (৬৫) নামে সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন সোহরাবের ছেলে জনি খান।
প্রাণ হারানো সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা।
ওই ঘটনায় স্থানীয় থানা মামলা গ্রহণ না করায় গত ১৫ এপ্রিল সোহরাবের বড় ভাই আবদুল মান্নান খান বাদী হয়ে আরিফুর রহমান হালদারসহ ১২ জনকে আসামি করে টংগিবাড়ী আমলি আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।