বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনি সহিংসতা মামলা: গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ কারাগারে ১১৯

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ৪ জুন, ২০২৪ ১১:০৭

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোটগ্রহণ চলাকালে সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে হামলা, মারপিট, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাচনি সহিংসতা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কোচাশহর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডলসহ ১১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (চৌকি আদালত) সোমবার বিকেলে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক মো. নাজমুল হাসান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান মিজান।

কারাগারে পাঠানো আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ খানুন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, উপজেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিন লেলিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য জলিল, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশাদুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রোকন আকন্দ।

এ ছাড়া মামলার এজাহার নামীয় ২০ থেকে ২৫ জন উপজেলা নির্বাচনের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক এবং বাকি আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোটগ্রহণ চলাকালে সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে হামলা, মারপিট, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পরে এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৫ মে রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা একটি মামলা করেন। মামলায় ১৩৩ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী শহিদুলের অভিযোগ, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী শাকিল আহমেদ বুলবুলের (সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান) কর্মী সমর্থক হওয়ার আক্ষেপে উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধানের কর্মী-সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশে মারপিট, অগ্নিসংযোগ করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেন।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই মামলার হাজাতী একজন ও ১১৮ জন আসামি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী ভবেশ চন্দ্র নিউজবাংলকে বলেন, ‘একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আদালত ১১৯ জনের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলাটি দায়ের করেন। আগামী দিনে আসামিদের জামিনের জন্য জজ আদালতে আবেদন করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর