মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসব লাইনের মাধ্যমে দুই হাজার অবৈধ সংযোগ চলত বলে জানিয়েছে তিতাস।
অভিযানকালে রাতের আঁধারে ফের যাতে কেউ অবৈধ লাইন নিতে না পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
অভিযানে ভবেরচর, লক্ষীপুরা ও আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ৬ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘বৈধ গ্রাহকের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছি আমরা। আজ মূলত যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি এলাকার অবৈধ সঞ্চালন লাইন উচ্ছেদ করা হলো।’
সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে অবৈধ গ্রাহকরা যাতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ নিতে না পারে, সেজন্য এই ব্যবস্থা। অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়া ও ব্যবহারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আরও মামলা করব। সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তিতাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার অ্যান্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে তিতাস। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উপজেলায় বৈধ গ্রাহকদের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও এই এলাকায় ২০ দিন গ্যাস সরবারহ বন্ধ রেখেছিল তিতাস।