বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমালে সুন্দরবনের ক্ষত দৃশ্যমান হচ্ছে, এখনও মিলছে মৃত প্রাণী

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ২ জুন, ২০২৪ ২০:১৭

সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই ঘর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মারা যাওয়া এ সব বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা সব বন্যপ্রাণী ম্যানগ্রোভ এই বনের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

ঘর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড সুন্দরবনে আরও মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধান মিলেছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও চর থেকে ১৩৪টি মৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা মৃত এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ১৩০টি হরিণ ও চারটি বন্য শুকর।

সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই ঘর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মারা যাওয়া এ সব বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা সব বন্যপ্রাণী ম্যানগ্রোভ এই বনের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনে ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এ সময় ৬ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সুন্দরবন। দীর্ঘসময় ধরে সুন্দরবনর জলমগ্ন থাকায় বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে বন্যপ্রাণী মৃত্যু বেশি ঘটেছে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পর গত পাঁচ দিনে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, ডিমেরচর, পক্ষীরচর, শেলারচর, নীলকমল, নারিকেলবাড়িয়া ও জ্ঞানপাড়াসহ বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১৩০টি হরিণ ও ৪টি বন্যশুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর সাপ। এই ১৮টি হরিণ ও অজগর সাপটিকে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছাসে অনেক বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে। মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে ভেসে মারা পড়া ও গহীন অরণ্যে মরে পড়ে থাকায় সব বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ কখনোই উদ্ধার সম্ভব হবে না। সে কারণে মৃত্য বন্যপ্রাণীর সঠিক হিসাব পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর