বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসিতে হাজির হয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ জুন, ২০২৪ ১৮:২২

প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো কারণে যদি আমার জানার বাইরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ একইসঙ্গে আইনের ব্যত্যয় ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।”

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রোববার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর বিপক্ষে একটি শো-কজ নোটিশ ছিল। তার জবাব দেয়ার জন্য আমি আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। মূলত, একটি ভিডিও এখানে দেখানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি (প্রতিমন্ত্রী) তিনজনের জন্য ভোট চেয়েছেন।

‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার বিষয়টি দুবার বলা হয়েছে। এর মানে এটি সুপার এডিট হতে পারে। আর এ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ করলে তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

সুমন আরও বলেন, “নির্বাচনের ইমেজ ঠিক রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে এর জন্য প্রতিমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো কারণে যদি আমার জানার বাইরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ একইসঙ্গে আইনের ব্যত্যয় ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।”

প্রসঙ্গত, ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাইন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে শো-কজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট ‌ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ হয়েছে। এই কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লঙ্ঘন।

সে জন্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে বিষয়ে রোববার নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।

এ বিভাগের আরো খবর