বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজে বিক্রি করেন না তামাক, অন্যকেও করেন নিরুৎসাহিত

  • প্রতিনিধি, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)   
  • ৩১ মে, ২০২৪ ১০:২৪

চর চতিলা গ্রামের পরিবেশবাদী ডা. আবু সাঈদ বলেন, ‘চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থাকি। ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে খোদাবক্সকে তামাকজাত পণ্যে বিক্রি না করার পরামর্শ দেই। সেই থেকে তিনি এসব বিক্রি করছে না।’

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায়। পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও কয়েক লাখ মানুষ। তামাক সেবন ও ধূমপানের কারণে মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চর চতিলা বাজারের খোরশেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক খোরশেদ আলম খোদাবক্স (৬০)। দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিজ দোকানে তামাক ও তামাকজাতীয় দ্রব্য বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ রেখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে চর চতিলা বাজার প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মনোহারী দোকান পরিচালনা করে আসছেন খোরশেদ আলম।

ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শারীরিক ক্ষতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে ২০২১ সাল থেকে বিড়ি, সিগারেট, জর্দাসহ তামাক জাতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করি। দোকানে বিক্রির সামান্যতম ক্ষতি হচ্ছে না। বরং ক্রেতা, বন্ধু-বান্ধব এমনকি আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রশংসিত হচ্ছি।’

তিনি জানান, অন্য ব্যবসায়ীদেরকেও তামাক বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করেন খোরশেদ আলম। তার মহাজন গোপালপুরে পাইকারি ব্যবসায়ী মদিনা স্টোরের মালিক তার পরামর্শেই তামাক বিক্রি বন্ধ রেখেছেন দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বিক্রি করেন না। তার এই সাহসী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’

চর চতিলা গ্রামের পরিবেশবাদী ডা. আবু সাঈদ বলেন, ‘চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থাকি। ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে খোদাবক্সকে তামাকজাত পণ্যে বিক্রি না করার পরামর্শ দেই। সেই থেকে তিনি এসব বিক্রি করছে না।’

তার ভাষ্য, তামাকজাত দ্রব্যের কারণে অসুস্থতার পাশাপাশি, ধূমপানের কারণে কিশোররা সংঘবদ্ধ হয়ে মাদকের দিকে ঝুঁকে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

এ বিভাগের আরো খবর