মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি চা বাগনের লাইসেন্সধারী দেশীয় মদের দোকানে (পাট্টায়) গিয়ে পরিদর্শনের নামে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক (ডিডি) মিজানুর রহমান শরীফসহ ৫ জনকে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বাগানবাসী।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়ের লংলা চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের দাবি, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ ও মাদকদ্রব্যের সহকারী প্রসিকিউটর এস এম সোয়েব রহমানের নেতৃত্বে ৫ জনের একটি দল উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা বাগানে পরিদর্শনে যান। এসময় মদ্যপ কয়েকজনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন উপ-পরিচালক। এতে উপস্থিত মদ্যপায়ী চা শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দলটিকে একটি ঘরে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
দোকানমালিক মিঠুন কালোয়ারের দাবি, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান লাইসেন্সধারী পাট্টায় গিয়ে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চড়াও হন মাদকের ওই কর্মকর্তা। পরে রাত ১০টার দিকে কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করে ওই কর্মকর্তাদের নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডিডি মিজানুর রহমান শরীফ বলেন, ‘বুধবার দিনব্যাপী জেলার কয়েকটি পাট্টা পরিদর্শন ও মাদকবিরোধী সভা করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে লংলা চা বাগানে গিয়ে মদ্যপ কয়েকজনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হন। পরে তাদের কথা মতো ছবি ও ভিডিও মোবাইল থেকে ডিলিট করা হয়।’
এসময় চাঁদা দাবির অভিযোগটি অস্বীকা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনিনি। এমন কিছু হয়ে থাকলে কুলাউড়ার ইউএনওকে বিষয়টি তদন্ত করা জন্য বলব।’