বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ মে, ২০২৪ ১৯:২৭

আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গেজ বলেন, ‘এ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে দেখে আমি খুশি। এ শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে আইএমওর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, হংকং কনভেনশন প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত আন্তরিক ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সর্বাত্মক সহয়োগিতা প্রয়োজন। আইএমও মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে এতে গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করা যায়।

বৃহস্পতিবার আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গেজ মন্ত্রীর সঙ্গে রাজধানীর মতিঝিলে তার দপ্তরে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত সাংবাদিকদেরদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনের শেষ সীমায় পৌঁছানো জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে পুনর্প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ২৫ জুন হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করে। সে হিসেবে ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে বাংলাদেশকে কনভেনশন প্রতিপালন করতে হবে এবং সকল ইয়ার্ডে ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণসহ করণীয়সমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’

মন্ত্রী এসময় হংকং কনভেনশন প্রতিপালনে শিপ ইয়ার্ড মালিকদের জন্য উন্নয়ন সহযোগী বা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে সফট লোন পেতে আইএমওর সহযোগিতা কামনা করেন। তাছাড়া জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনেও আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সহায়তা চান।

সাক্ষাৎকালে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গেজ বলেন, ‘জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে হংকং কনভেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এ শিল্পের টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

‘এ বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ স্বচক্ষে দেখা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমার এ সফর।’

ডমিঙ্গেজ বলেন, ‘এ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে দেখে আমি খুশি। এ শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে আইএমওর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

মহাসচিব এসময় বাংলাদেশ সরকার ও আইএমওর সহযোগিতায় বাংলাদেশের জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ ও নির্মাণ শিল্প আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) এস এম আলম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরক্ত সচিব ড. শাহ্ মো. হেলাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৮০ সাল থেকে জাহাজ রিসাইক্লিং করে আসছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় শতাধিক শিপ সাইক্লিং ইয়ার্ড রয়েছে। উল্লিখিত ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে ৫০টি চালু রয়েছে।

দেশের সামগ্রিক লোহার চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াকরণ শিল্প থেকে। প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল।

এ বিভাগের আরো খবর