বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাঙা ঘরবাড়িও সংস্কার করে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ৩০ মে, ২০২৪ ১৭:১২

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূণিদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যাদের ঘর-বাড়ি ভেঙেছে সেগুলোও সংস্কারের পদক্ষেপ নেব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যাদের ঘর-বাড়ি ভেঙেছে সেগুলোও সংস্কারের পদক্ষেপ নেব।’

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন আয়োজিত কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রকৃতির নিয়মেই আসে। সেখানে মানুষের জীবন-মান বাঁচানোই সবচেয়ে বড় কথা। জিনিস গেলে পাওয়া যায়। কিন্তু জীবন তো আর পাওয়া যায় না।’

নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও দেশের উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিকভাবে নিবেদিত। অনেক লোকই তো ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারা এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। আমরা রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রিজ নির্মাণ করে আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি। এখন ৬/৭ ঘন্টার মধ্যেই ঢাকা থেকে সড়কপথে কলাপাড়ায় আসা যায়।’

ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এবারে খুবই অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের করে দেয়া সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় পেয়েছে। দুর্যোগ-সহনীয় ঘর-বাড়ি দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। সে সুবাদে মানুষ এবং পশু-পাখি আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে।

‘সরকার চায় এই এলাকার মানুষ যেন দুর্যোগ থেকে মুক্তি পায়। কারণ এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। যাতে বর্ষার আগেই এগুলো পুনর্নির্মাণ করে মানুষকে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে বাঁচাতে পারা যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বসে হিসাব নিরূপণ করে যেখানে যাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে সেগুলোও সংস্কারের পদক্ষেপ নেব। তরিতরকারি ও খেতের ফসল যা নষ্ট হয়েছে কৃষকরা যেন নতুন উদ্যমে আবার চাষাবাদ করতে পারেন সে জন্য বীজ ও সার প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার সেটা করে যাচ্ছে।

‘দেশের মানুষ যেন না খেতে পেয়ে কষ্ট না পায় এজন্য তাদের সার্বিক উন্নতিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

কোলাপাড়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মল নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে এই এলাকার ঘূর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর