বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী

  • প্রতিনিধি, নোয়াখালী   
  • ২৯ মে, ২০২৪ ১৩:৪০

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি কলটি রিসিভ করে বলেন, ‘মেয়র মহোদয় ব্যস্ত আছেন। এখন কথা বলবেন না।’

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকায় নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রার্থী।

দুইজন হলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই প্রার্থী যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আনারস মার্কার গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের পক্ষ নিয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে উনার ছেলে তাসিক মির্জা ও ভাগিনারাসহ আমার কর্মী ও এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন। তারা সাড়ে আটটার মধ্যে সিল মেরে সব ভোট কমপ্লিট করেছে।

‘গত রাতে আমার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর, বোমাবাজি ও কুপিয়ে জখম করেছে। যার কারণে অনেক এলাকায় আমার কর্মী ও এজেন্টরা বাড়ি থেকে বের হতে পারে নাই। প্রশাসনকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে ভোট বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণার করার জন্য আবেদন জানান তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, ‘এখানে ভোটের পরিবেশ আগেও ছিল না। আমরা স্বাধীনভাবে কোনো মতপ্রকাশ করতে পারি নাই, ভোট চাইতে পারি নাই। ভোটারদের কাছে যেতে আমাদেরকে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এ জন্য আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাই নাই।

‘আজ সকালে আমার এজেন্ট যারা কেন্দ্রে গিয়েছে তাদের এজেন্ট ফরম ছিঁড়ে ফেলেছে, টেবিল ভেঙে প্রত্যেককে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এখন ওপেন সিল মারছে তারা। ভোটাররা কেন্দ্রে আসার সময় তাদের কুপিয়ে ও মাথা ফাটিয়ে নৌকার মধ্যে ফেলে রেখেছে। তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে পারছে না। এ অবস্থায় আমরা এ ভোট মেনে নিতে পারি না, চলতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের মান সম্মানে আঘাত করা হয়েছে। উনার উপজেলায় সারা রাত বোমাবাজি করা হয়েছে, মানুষকে জখম করা হয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পারছে না। উনার ভাতিজা তাসিক ও ভাগিনা রাহাতের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫টা অনুমোদনহীন গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাই আমি মাননীয় মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এ ভোট বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দেয়া হোক।’

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি কলটি রিসিভ করে বলেন, ‘মেয়র মহোদয় ব্যস্ত আছেন। এখন কথা বলবেন না।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত ও মৌখিক কোনো অভিযোগ আসেনি। আমি নিজেই কোম্পানীগঞ্জে আছি। কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদেরও পেয়েছি। কোথায় কোন কেন্দ্রে অভিযোগ আমাকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর