বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড় রিমালে পটুয়াখালীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ২৮ মে, ২০২৪ ১৮:০৬

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ হাজার ৮২টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৩১ হাজার ৬৯৪টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমির ফসল, ২৯ হাজার ২৪০টি গবাদি পশু, ২৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার বাঁধ, ৩৬১ দশমিক ৩ হেক্টর বনাঞ্চল এবং ১৪ হাজার ৯২৮টি পুকুর ও ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল। জেলা শহরসহ নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে এখনও অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎহীনতায় ইন্টারনেট যোগাযোগও পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি।

ঝড়ে গাছ ও ঘরচাপায় তিনজন মারা গেছেন। জেলার ৮টি উপজেলার ৭৫টি গ্রাম জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। ৮৪ হাজার ৫০০ পরিবারসহ ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে। পাশাপশি ৬ হাজার ৮২টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৩১ হাজার ৬৯৪টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমির ফসল, ২৯ হাজার ২৪০টি গবাদি পশু, ২৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার বাঁধ, ৩৬১ দশমিক ৩ হেক্টর বনাঞ্চল এবং ১৪ হাজার ৯২৮টি পুকুর ও ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া জেলার ৮টি উপজেলায় মোট এক হাজার ২২৪টি গভীর ও হস্তচালিত নলকূপ আংশিক, ৬ হাজার ৬৪১টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার আগেই জেলার ৮২৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৫৮ হাজার ৫৫জন মানুষ আশ্রয় নেন। একইসঙ্গে ১১ হাজার ৮৬৮টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়।

ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩৫০ টন জিআর চাল, নগদ ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৮শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬ লাখ টাকার শিশুখাদ্য এবং ৬ লাখ টাকা গো-খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর