ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় এটি স্থলভাগে উঠে আসে। এই সময় থেকে উপকূলীয় জেলাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) উপকূলীয় জেলাগুলোর তিন কোটি ৫৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে দুই কোটি ২২ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, ৮১টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পিবিএস) ৬১টির অধীন এলাকায় এসব গ্রাহক বসবাস করছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল সেগুলো মূলত দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
‘ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করে আবার সংযোগ চালু করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা এখন ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।