ঢাকার সাভারে একটি রেস্তোরাঁ থেকে জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ‘ফুড প্লানেট’ রেস্তোরাঁয় শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন বৈঠকের সময় তাদের আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ। পরে মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৯ জনের নাম, পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রাজবাড়ীর পাংশার বাগমারা গ্রামের জিল্লুর রহমান (৪৫), নাটোরের বাগাতিপাড়ার আশিকুর রহমান (৪০), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার কাসাড়া গ্রামের মো. আনোয়ার (২৯), জামালপুরের মেলান্দহ থানার ঢালুখাবাড়ি চরপাড়ার আবদুর রাজ্জাক (৫০), টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার পাকুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২), মেহেরপুরের গাংগী থানার সাহেবনগর গ্রামের আবুল বাশার (৪৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভাওয়া গ্রামের আবদুল কাদের (৬০), সিরাজগঞ্জ সদর থানার শিলদাহ গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৩৩), আশুলিয়ার নয়ারহাটের ঘুঘুদিয়া এলাকার আরমান হোসেন (৩৭), মাদারীপুরের শিবচর থানার সন্যাসীর চর এলাকার জলিল খান (৪২), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার কান্দিরপাড় গ্রামের সোহেল রানা (২৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার সিকিরচড় গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৫৩), বগুড়ার ধনুট থানার বড়মোগাচর গ্রামের আবদুল করিম (২৯), নীলফামারীর ডোমার থানার উত্তর আমবাড়ি গ্রামের নুরনবী (৩৮), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামের তৈয়ব উল্লাহ (৪৭), ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার উরাগাছা গ্রামের মোজাম্মেল হক (৪০), দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মিরাজ হোসেন (৩৪), আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বটতলা এলাকার মানিক (৩৪), বরিশালের মুলাদি থানার চরপদ্মা গ্রামের মো. হাসান (৩৫), বরিশাল সদরের চরকালামতি এলাকার জসিমউদ্দীন (৪০) ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার চৌবাড়িয়া গ্রামের জাহিদ হাসান (৪১)।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার জামায়াতের ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের পর তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। শনিবার তাদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।