ঢাকার সাভারের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নারী পাচার চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই সময় চক্রটির জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিশোরীসহ তিনজনকে।
সাভার মডেল থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার রাতে সাভারের ভরারী এলাকার পোড়া বাবুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার গুয়াতলা গ্রামের খলিল বেপারী (৪২), তার স্ত্রী একই এলাকার লাইলী বেগম (৩৫), টাঙ্গাইলের কালিহাতীর সিংগাইর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৯), সাভারের ভরারী বটতলা এলাকার মিথিলা আক্তার (২০) ও বরিশালের উজিরপুর থানার বড়কোঠা গ্রামের তানজিলা আক্তার ফাতেমা (২৫)। তারা সবাই সাভারের ভরারী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, ভরারী এলাকার একটি বাড়িতে কিশোরীদের জিম্মি করে যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় এক কিশোরীসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা ও সাভারে চাকরির সন্ধানে আসা গ্রামের নারীদের তারা টার্গেট করেন। এর অংশ হিসেবে গাবতলী, সাভার, আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, নবীনগর ও বাইপাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের সদস্যরা অবস্থান করেন।
পরে টার্গেট মতো কিশোরী কিংবা তরুণীদের নানা কৌশলে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে আশ্রয় দেন। এরপর আরও বেশি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এসব নারীকে দৌলতদিয়া, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ এলাকার যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়া হয়।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন-ওর-রশিদ বলেন, ‘আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আসামিরা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম থেকে আসা অসহায় নারীদের ফ্ল্যাটে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে।
‘পরে তাদের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয় চক্রের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছে।’
এসআই আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মানব পাচার ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।