বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মে, ২০২৪ ২৩:৩২

উন্নত কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৫ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সফল হয়েছে। আমরা আমাদের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জমি কমে যাওয়ায় উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফররত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা খোলামেলা কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেন।

‘প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা অলস বসে থাকিনি (উন্নত দেশের অপেক্ষায়)। আমরা আমাদের জনগণকে বাঁচানোর জন্য নিজস্ব ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এখানে প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আঘাত হানে।’

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের যুদ্ধ বা সংঘাতের বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিটি সংঘাত নিরসনে আলোচনা ও সংলাপ চাই।

‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য অনুরোধ করলেও প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

‘বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। মিয়ানমার এখনও তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট আয়তনের বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এজন্য আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছি।’

‘সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য সারাদেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে এবং দেশের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে মুনাফা অর্জন করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সফল হয়েছে। আমরা আমাদের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জমি হ্রাস পাওয়ায় আমাদের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’

সরকার প্রধান উন্নত কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের মাত্রা ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।’

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী ও সফররত অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী কৃষি, শিক্ষা, বাণিজ্যসহ দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে এবং তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।’

শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের দেশে আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর প্রবেশাধিকারের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা জোরদারের উপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার দুদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন পেনি ওং।

এ বিভাগের আরো খবর