যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাক্টের আওতায় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাক্টের প্রয়োগ। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।’
মানুষের আগ্রহ নষ্ট করতেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, টিআইবিসহ কিছু দেশবিরোধী বুদ্ধিজীবী অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। সংঘাতবিহীন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
শাসক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘ভোটাররা কেন আসেনি একথা যারা বলে তাদেরকে বলব- এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আমাদের বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ হয় এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে।
‘বিএনপি নেতাদের বলব- আপনাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিবিসি মন্তব্য করেছিল ৫ শতাংশ। আর তখন সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন বলেছিল ২১ শতাংশ। তাহলে আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে উপস্থিতি ২১-এর তুলনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০+ কম কিসে?’
রক্তপাত ছাড়া বিএনপি আমলে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়নি বলে এ সময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশের কিছু বেশি ছিলো। সে নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমান আবেদন করেই বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন এবং এর তথ্য-প্রমাণ আছে দাবি করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাকশাল একক কর্তৃত্ববাদী কোনো দল নয়। এটা জাতির প্রয়োজনে তখনকার বাস্তব অবস্থায় একটি জাতীয় দল। এটা একদলীয় কোনো শাসন নয়। জাতীয় এই দলে নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল।
‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা যতই মিথ্যাচার করুন তথ্য-প্রমান আছে। জিয়াউর রহমান বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য পদ লাভ করেছিলেন। বাকশালের কমিটিতে ৭১ নম্বরে তার নাম ছিল। মিথ্যাচার করে লাভ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।