বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি হাসপাতালে বসে রোগীর কাছে টাকা দাবির অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ   
  • ২১ মে, ২০২৪ ১৯:৩৭

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুনুর রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে টাকা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘হাসপাতালের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়েছি।’ এ ধরনের চিকিৎসার জন্য তিনি এক লাখ টাকাও নিয়ে থাকেন বলে জানান।

সরকারি হাসপাতালে বসে চিকিৎসাবাবদ রোগীদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসকের দাবি করা ১৫ হাজার টাকা না দেয়ায় চিকিৎসা মেলেনি তার।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম মামুনুর রশীদ মৃধা। তিনি কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত।

মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের ঝাওগারচর গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমানের ছেলে।

মজিবুর জানান, মারামারি সংক্রান্ত ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে ছোট ভাই হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মামুনুর রশিদ মৃধা। এ সময় চিকিৎসাবাবদ তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন ডা. মামুনুর। অনেক অনুরোধের পর শেষ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকায় রাজি হন তিনি, কিন্তু সঙ্গে নগদ টাকা না থাকায় বাঁধে বিপত্তি। চিকিৎসক তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধমক দিয়ে বলেন- ‘এটা মাছের বাজার পেয়েছ?’ টাকা দিতে না পারায় চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, ‘তখনও আমার হাতের কাটা অংশ থেকে রক্ত ঝরছিল। এ অবস্থায় আগে চিকিৎসা নিয়ে, পরে বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা এনে দেয়ার কথা বললে ডাক্তার ধমক দেন।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কয়েকজন সংবাদকর্মী গেলে ওই চিকিৎসকের অনুগত কয়েকজন দালাল তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং ভেতর থেকে গেট লাগিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের মারধরের হুমকি দেন। পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গেট খুলে দিলে দালালরা চলে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুনুর রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে টাকা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়েছি।’

এ ধরনের চিকিৎসার জন্য বাইরে তিনি এক লাখ টাকাও নিয়ে থাকেন বলে জানান।

হাসপাতালে কেন এ ধরনের চিকিৎসা করেন না?- জবাবে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে কোনো ফ্যাসিলিটি (সুযোগ-সুবিধা) নেই। খোঁজ নিয়ে দেখেন।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও ডা. দেবাশীষ ভৌমিক দালালদের উৎপাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডা. মামুনুর রশিদ মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা হাসপাতালে চলতে পারে না। ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের পরিচালক ও আরএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর